আলু পেঁয়াজের চচ্চড়ি ? ? ?

মোর প্রিয়া হবে এসো রাণী, দেব খোঁপায় পেঁয়াজের ফুল ,আমি পেঁয়াজ খেতে খুব পছন্দ করি।
মনে আছে ,তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম I ফজলুল হক হলে থাকতাম I হলের ডাল খেতে খেতে ব্রেনটি যখন „DULL“ হয়ে যেত , অনেক রাতে বন্ধু-বান্ধবকে নিয়ে যেতাম রেললাইনের পাশের নোংরা রেস্তোরাঁগুলিতে ।

বলতাম, মাছ ভাজার সাথে পেঁয়াজ বেশি করে দেবেন । ফাউ দুটো পেঁয়াজ ও পেতাম সালাদের সাথে । সেই পেঁয়াজের এখন আকাশচুম্বী দাম ।

নিন্দুকেরা বলে , জামাই যৌতুক চাওয়ার সময় মেয়ের বাবাকে পেঁয়াজের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় ,বলে, „সাথে কিন্তু পেঁয়াজ দিতে হবে“।

তবে বাংলাদেশ তো „DIGITAL “, তাই পেঁয়াজের দাম ও „FATAL“ । কাকে দোষ দেব ?

তবে মন্দের ভালো এবার মাতৃভূমিতে প্রচুর আলু উৎপাদিত হয়েছে ।

আলু আমার আরো আলু , আলুই জীবন ভরা !!!!!!

আমরা বাঙালিরা আলু খেতে চাই না । আমরা ভাতের পাগল । গরম ভাত, বাসি ভাত , পান্তা ভাত কাঁচা মরিচ আর পেঁয়াজ সহ ।

ওহ সরি , আবারো পেঁয়াজের কথা মনে করিয়ে দিলাম ।

বাংলাদেশে এবার এতো আলু হয়েছে যে আমরা ইচ্ছে করলে বিদেশে রপ্তানি করতে পারি । তবে কিনবে কে ? আমাদের এতো হিমাগার ও নেই ।

তাহলে কি আমরা বাঙালিরা ভাত ছেড়ে আলু খাওয়া ধরবো ? জাতি কি এটা মেনে নেবে ?

এবার আপনাদের একটি মচমচে প্রচলিত পেঁয়াজু দিচ্ছি ।

স্কুল ইন্সপেক্টর ক্লাসে গেছেন ছাত্রদের পরীক্ষা করতে। এক ছাত্রকে জিজ্ঞেস করলেন , বলো তো “কত ধানে কত চাল ” ——এটার ইংরেজি কি হবে ?
ছাত্র অনায়াসে উত্তর দিলো : “HOW MANY RICE IN HOW MANY PADDY ” ।

ইন্সপেক্টর ছাত্রের নির্বুদ্ধিতায় অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ” WHO IS YOUR TEACHER ? ”

টিচার এগিয়ে এসে বললেন, “I IS THE TEACHER” .

এবার ইন্সপেক্টরের চোখ ছানাবড়া । বললেন, ” ARE YOU THE TEACHER ” ?

টিচার উত্তর দিলেন: – YES, I ARE .

তারিক হক
জার্মানি,
১৩/ ০১ / ১৮

Share This